পেঁপে চাষাবাদের সঠিক নিয়ম

 



সহজলভ্য পেঁপে সারা বছর পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় কৃষক ও ভোক্তার কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়। আজকের আয়োজন এর নানা দিক নিয়ে
চাষাবাদের সঠিক নিয়ম
পেঁপে একটি সহজলভ্য ফল। সারা বছর ফলের পাশাপাশি সবজি হিসেবেও খাওয়া যায়। বর্ষা ও শীত মৌসুমে যখন বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দেয়, তখন পেঁপে চাহিদা মেটায়। আবার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ করে পেঁপে। কম সময়ে অধিক ফলন দেয় বলে চাষির কাছে তাই বেশ জনপ্রিয়।
পরিচিতি: পেঁপে গাছ লম্বা হয়। বোঁটাযুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় ও সর্পিল আকারে কাণ্ডের উপরাংশে সজ্জিত থাকে। এ গাছ লম্বায় প্রায় তিন থেকে সাত ফুট লম্বা হয়ে থাকে। কম-বেশি সারা বছর ফল হয়। এর কাঁচা ফল দেখতে সবুজ, পাকলে হলুদ বা পীত বর্ণের হয়। ফলটি কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।


চাষের সময়: সারা বছর এ ফল চাষ করা গেলেও উত্তম সময় হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। জমি কিংবা বাড়ির আশেপাশে খালি জায়গায় লাগানো যেতে পারে গাছটি। আমাদের দেশে এর অনেক জাত রয়েছে। জাতগুলো হলো: ব্লুস্টেম, কাশিমপুরী, যশোরী, রাচি, নউন ইউ, হানি ডিউ, ছোট পেঁপে, শাহি পেঁপে ও সংকর জাত। এর যে কোনো একটি জাত বেছে নিয়ে চাষ করতে পারেন। পেঁপে চাষের জন্য দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি বেশি উপযোগী। তবে এটি জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন প্রচুর সূর্যের আলো। তাই চাষের জমি হতে হবে জলাবদ্ধতামুক্ত ও সেচ সুবিধাযুক্ত।
চারা রোপণের সময়: কার্তিক থেকে ফাল্গ–ন অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পেঁপের বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। আর চারা রোপণের সময় চৈত্র থেকে বৈশাখ অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিল উপযুক্ত সময়। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এর চারা রোপণ করা যায়। যদিও উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর দোআঁশ মাটি চাষের জন্য ভালো। তবে পরিচর্যা করলে সব ধরনের মাটিতেই চাষ করা যায়।
চারা তৈরি: এর বীজগুলো সংগ্রহ করে প্রায় এক ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এরপর একদিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। একদিন হয়ে গেলে পানি ফেলে বীজগুলো ছাই মেখে দুই ভাগ মাটি ও এক ভাগ শুকনো গোবর মিশিয়ে মাটিতে বীজগুলো বুনতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বীজগুলো যাতে মাটির বেশি নিচে না যায়। এরপর খড় অথবা ধানের কুঁড়া দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে। এর ওপরে পানির ঝরনা দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ দিন পর চারা বের হওয়া শুরু করবে। এ সময় ঢেকে দেওয়া খড় অথবা কুঁড়া সরিয়ে দিতে হবে। শীতের সময় চারা বের হতে সময় লাগে বেশি। তবে পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
চারা রোপণ পদ্ধতি: চারা রোপণের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে দুই মিটার দূরত্বে ৬০ী৬০ী৪৫ সেন্টিমিটার আকারে গর্ত করে নিতে হবে। গর্তে পচা গোবর ও টিএসপি সার দিয়ে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সার মিশ্রিত মাটি দ্বারা গর্ত পূরণ করে জায়গাটায় সেচ দিতে হবে। দেড় থেকে দুই মাস বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। রোপণ করার আগে উৎপাদিত চারার উম্মুক্ত পাতাগুলো ছিঁড়ে ফেলে দিতে হয়। এতে চারা মারা যাওয়া হ্রাস পায়। একযোগে তিনটি করে চারা রোপণ করতে হয়।

পুষ্টিগুণে ঠাসা


পেঁপের পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বলা যায় এটি একটি মূল্যবান ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারিকা পাপায়া। পেঁপের আরেক নাম পাওয়ার ফ্রুট। এতে রয়েছে অনেক রোগের নিরাময় ক্ষমতা। এর পেপেইন নামের উপাদান আমিষকে হজম করে সহজে। পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে। এর কিছু পুষ্টিগুণ জেনে রাখতে পারেন:
# কাঁচা পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। পেঁপে ও বীজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অ্যামোবিক ও অ্যান্টি প্যারাসিটিক উপাদান, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। এছাড়া হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাসের সমস্যা, পেটব্যথা প্রভৃতি সমস্যা সমাধানে এর জুড়ি মেলা ভার
# এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেপসিন। এ পেপসিন হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া কাঁচা অবস্থায় পেপেইন নামক হজমকারী দ্রব্য থাকে। অজীর্ণ, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, কিডনি ও ক্যানসার নিরাময়ে কাজ করে। পাকা পেঁপে ফল ও কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। দুটোতেই সমান পুষ্টি পাওয়া যায়
স প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল পেঁপে। ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। ব্রণ সমস্যা ও মুখের যে কোনো দাগ দূর করে। তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় সুমিষ্ট এ ফলটি রাখুন
# গবেষণায় প্রমাণিত, প্রতিদিন তিনবার এ ফল খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বয়স্কদের দৃষ্টি ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাবারে পেঁপে রাখুন। এ ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ই’ চোখের জন্য খুবই ভালো
স নবাগত মায়েদের কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে তাদের বুকের দুধ বাড়বে
# ওষুধ হিসেবে কাঁচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশি। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অনেক
# আপেল ও কমলার চেয়ে এ ফলে ভিটামিন ‘ই’র পরিমাণ অনেক বেশি। ১০০ গ্রাম পেঁপের মধ্যে ক্যালসিয়ম ১৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’ ৫৭ মিলিগ্রাম, বাকিটা ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স রয়েছে। সুতরাং স্বাস্থ্য রক্ষায় এ ফল গুরুত্বপূর্ণ
# রক্তচাপ ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে ফেলে। এতে হƒদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। তাই চিকিৎসকরা হƒদরোগীদের সব সময় পেঁপে খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন
# প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাওয়ার পর এক টুকরা কাঁচা পেঁপে খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়
# অনেকের খেতে অরুচি থাকে। খাবার দেখলেই বমি পায় বা পেট খারাপ হয়, তাদের জন্য পেঁপে খুবই উপকারী
# মাঝেমধ্যে অনেকেরই পেট ফাঁপা দেখা দেয়। পেট ফাঁপা দূর করতে পেঁপের সঙ্গে লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা দূর হয়
# অনেকের মাথায় উকুন হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। সব সময় মাথা চুলকাতে হয়। উকুন দূরীকরণে এ ফল অনেক উপকার। পেঁপের আঠা মাথায় নিয়মিত লাগালে উকুন দূর হয়। তাছাড়া নিয়মিত খেলে চুলকে সুস্থ ও ভালো রাখতে সাহায্য করে
# আমাদের অনেকেরই দাদের সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের জন্য এ ফল একটি ভালো ওষুধ। এর রস দাদ ভালো করে।

রোগবালাই দমন ও সাবধানতা চারা-ধসা রোগ
আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে এক ধরনের দাগ দেখা যায়। শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে, গাছ মারা যায়। স্যাঁতসেঁতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। আক্রান্ত চারা বীজতলা থেকে অপসারণ করতে হবে। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই পেঁপে খাবেন না বা বিক্রি করবেন না। এ রোগ ঠেকাতে চারা রোপণের আগে ছত্রাকনাশক মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বীজ শোধন করে নিতে হবে। রৌদ্রযুক্ত উঁচু স্থানে বীজতলা তৈরি করে নিলে ভালো হয়।

গোড়ায় পচা রোগ
গোড়ায় পচা রোগে আক্রান্ত হলে গাছের পাতা হলুদ হতে থাকে। চারার গোড়া ও শিকড় পচে যায়। চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছ অপসারণ করতে হবে। এ রোগ ঠেকাতে কৃষি অধিদফতরের পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাকনাশক ওষুধ পানিতে মিশিয়ে গোড়ার মাটিসহ ভিজিয়ে দিতে হবে। তবে সাবধান, আক্রান্ত গাছের বীজ সংগ্রহ করা যাবে না।

ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ
এ রোগে আক্রান্ত হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে পাতা কুঁচকে যায়। ফল ধরার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। এ রোগ দেখা দিলে ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। ভাইরাসমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করতে হবে। জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।

পাতা কুঁচকানো রোগ
এক ধরনের ভাইরাসের কারণে পাতা কুঁচকানো রোগ দেখা দেয়। এ রোগ হলে গাছে কুঁচকানো ও কোঁকড়ানো পাতা দেখা দেয়। এতে গাছের বৃদ্ধি থেমে যায়। এক সময় বাগানে এ গাছ জঙ্গল হিসেবে পরিগণিত হয়। এক্ষেত্রে বাগান থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলাই ভালো। প্রথম অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব কৃষি অধিদফতরের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দিতে হবে।

মিলিবাগ বা ছাতরা পোকা
এ ধরনের পোকা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয়; ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মতো দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়াও দেখা যায়। এতে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় ও ডাল মরে যায়। এতে ফল ধরার সম্ভাবনা তো থাকেই না, বরং পুরো গাছ মরেও যেতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হবে। গাছের গোড়ার মাটির ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার ওপরে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে, যাতে মিলিমাগ গাছে উঠতে না পারে। সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম বা বাচ্চার গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে পানিতে কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

ঢলে পড়া রোগ
যে কোনো বয়সের গাছে এ রোগ হতে পারে। রোগাক্রান্ত গাছের পাতা প্রথমে হলদে ও পরে বাদামি রঙ ধারণ করে। গাছের শাখা-প্রশাখা আগা থেকে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত গাছটি সম্পূর্ণ মরে যায়। বাগান থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা উচিত। আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে জিপসাম অথবা চুন দিতে হবে। বাগানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।

সুটি মোল্ড রোগ
এ রোগের আক্রমণে পাতা, ফল ও কাণ্ডে কালো ময়লা জমে। মিলিবাগের আক্রমণ এ রোগের কারণ। মিলিবাগ দমনের জন্য আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হবে। গাছের গোড়ায় পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব মিলিবাগ পোকা দূর করতে হবে। সুটি মোল্ড রোগের আক্রমণ খুব বেশি হলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।

সাবধানতা
আগাম বীজ বপন করা উত্তম। সুষম সার ব্যবহার করতে হবে। রোগমুক্ত জাত যেমন- বারি জাত বেছে নিয়ে রোপণ করতে হবে।

পরিচর্যা ও ফল সংগ্রহ
চারা রোপণের পর ঠিকমতো পরিচর্যা না করলে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সঠিক পরিচর্যায় পাওয়া যায় উন্নত মানের ফল।

পরিচর্যা

চারা রোপণের কিছুদিন পর আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ছোট অবস্থায় গাছের গোড়ার মাটি তুলে দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার ও নিড়ানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের শিকড় কেটে না যায়। গাছে যখন ফুল আসে, তখন প্রতিটি গর্তে লাগানো তিনটি গাছের মধ্যে একটি রেখে বাকি দুটি তুলে ফেলতে হবে। তবে পরাগায়ণের সুবিধার জন্য বাগানে কিছু পুরুষ গাছ রেখে দেওয়া ভালো। খরা দেখা দিলে এ সময় পানি সেচ দিতে হবে, এতে ফলন বৃদ্ধি পাবে। শীতকালে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। চাষ করা জমির ক্ষেত্রে দুই সারির মাঝখানে নালা করে এমনভাবে সেচ দিতে হবে, যাতে শিকড় পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। আবার লক্ষ রাখতে হবে গোড়া যেন সব সময় পানিতে ডুবে না থাকে। মনে রাখতে হবে, পেঁপে গাছ পানি সহ্য করতে পারে না। তাই সেচ দেওয়ার পর সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ফলের বাগানে অন্যান্য ফসলও চাষ করা যেতে পারে। যেমন- লালশাক, পালংশাক, ধনেপাতা, লেটুস, মরিচ প্রভৃতি। তবে টমেটো, বেগুন, ফুলকপি জাতীয় সবজি চাষ না করাই ভালো। কারণ, এসব সবজিতে জাব পোকার আক্রমণ বেশি হয়। গাছের বেশি ফল ধরলে শক্ত খুঁটি গাছের কাণ্ডের সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে।

ফল সংগ্রহ
শীতের আগে রোপণ করা চারা সাধারণত চার থেকে পাঁচ মাসে ফুল ধরে। আর ছয় থেকে সাত মাসে কাঁচা পেঁপে সংগ্রহ করা যায়। সবজি হিসেবে কাঁচা ফল সংগ্রহ করা হয়। প্রথম দিকে গাছে প্রচুর পেঁপে ধরে। এগুলোর মধ্য থেকে কিছু ফল ছাঁটাই করতে হবে। তাহলে অন্য পেঁপেগুলো যখন পরিপক্ব হয়, তখন সেগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। ১০ থেকে ১১ মাসে ঠিকঠাক পরিপক্ব ও পাকা ফল সংগ্রহ করা যায়।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post