টেলিগ্রামের কিছু অজানা রহস্য

 টেলিগ্রাম কি? কেনো? এবং কিভাবে?


বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো’র পাশাপাশি টেলিগ্রাম নামে আরেকটি মাধ্যমও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এর মত ব্যবহারকারী না থাকলেও অচিরেই এদের স্থান দখল করে নিবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।

চলুন টেলিগ্রাম সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমেই টেলিগ্রাম কি তা সম্পর্কে জানা যাক। টেলিগ্রাম হচ্ছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এর মতই একটি সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যম। টেলিগ্রাম এর জনপ্রিয় হয়ে উঠার পেছনে মূল কারন এর সুরক্ষা ফিচার।

এর একটি গুরুত্বপূর্ন ফিচার হল এর মাধ্যমে পাঠানো কোন বার্তায় কোন ভুল থাকলে তা আবার এডিট করা যায়। ভুল বানান বা শব্দটি সঠিক করে পুনরায় পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে বার্তা পাঠানোর সাথে সাথে এই ফিচারটি কাজ করে। অনেক সময় পূর্বে পাঠানো বার্তা এডিট করা যায় না।

টেলিগ্রাম অনেক লো এন্ড ডিভাইসেও সাবলীলভাবে কাজ করতে পারে।

টেলিগ্রাম এর ইন্টারফেসঃ

টেলিগ্রাম এর ইন্টারফেস ইউজার ফ্রেইন্ডলি। ব্যবহারকারী চাইলে নিজের পছন্দমত ইন্টারফেস সাজিয়ে নিতে পারবেন। নরমাল মোড, ডার্ক মোড ফিচার এর পাশাপাশি ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের অপশনগুলোর রঙ পরিবর্তন করতে পারবেন।

টেক্সটিং ও কলিংঃ

টেলিগ্রাম একটি ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্ম। এটি দুর্বল গতির ইন্টারনেট দিয়েও দ্রুত টেক্সট ডেলিভারি দিতে পারে। এর ভয়েস কলিং কোয়ালিটিও অন্যান্য মাধ্যমগুলোর তুলনায় বেশ ভাল। তবে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ভিডিও কলিং ফিচার এখনও ডেভেলপ হচ্ছে।

ফাইল শেয়ারিংঃ

টেকিগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন ফিচারটি হচ্ছে, এর মাসদুমে ২ জিবি পর্যন্ত ফাইল শেয়ার করা যায়। অর্থ্যাৎ ব্যবহারকারীর কোন ফাইল যদি ২ জিবি পর্যন্ত হয় সেটি সে ইন্সট্যান্ট মেসেজ এর মাধ্যমেই পাঠাতে পারবেন। এর জন্য আলাদা করে গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্স এ স্টোরেজ করে লিংক শেয়ার এর প্রয়োজন পড়বে না।

প্রাইভেসি ও সিকিউরিটিঃ

প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি এর দিক থেকে অন্যান্য ব্যবহৃত যেকোন ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্ম থেকে টেলগ্রামকে এগিয়ে রাখতেই হবে। টেলিগ্রাম সরাসরি ক্লায়েন্ট এনক্রিপশন ব্যবহার করে বার্তা পাঠানোয় কাজ করে। ফলে ব্যবহারকারীদের মাঝ থেকে বার্তা বা ফাইল হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ব্যবহারকারী যে বার্তাটি মেসেজ বক্সে লিখে সেটি একটি কোড আকারে প্রেরিত হয়। যাকে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে তার ডিভাইসে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিকোড হয়ে যায়। এছাড়া ফেসবুক মেসেঞ্জারের মত সিক্রেট চ্যাট অপশন তো থাকছেই।

এত সব সুবিধার মাঝে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। প্রাইভেসি ও সিকিউরিটির ব্যপারে টেলিগ্রাম এগিয়ে থাকলেও শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না এই মাধ্যমটি। এছাড়া অডিও ও ভিডিও কলিং এও আরও ডেভেলপ করা যাতে পারে।

সব মিলিয়ে বলতে গেলে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এর মত জনপ্রিয় মাধ্যম না হলেও টেলিগ্রাম এর ফিচারগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যম হিসেবে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post